Anandadhara Prakalpa 2025: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকার এবং আমাদের রাজ্যের রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত দেশের এবং রাজ্যের সাধারণ জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রতি নিহত নানা রকমের প্রকল্পের মাধ্যমে সাহায্য করে আসছে। এই ধরনের প্রকল্পগুলি রাজ্যের 8 থেকে 80 সকলের কথা মাথায় রেখেই বানানো হয়েছে।
কিন্তু রাজ্য সরকার এবার আবারো রাজ্যের মহিলাদের জন্য নিয়ে চলে এলো নতুন একটি দুর্দান্ত প্রকল্প। এদিকে আবার সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য অতিরিক্ত 10 কোটি টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, কি সেই প্রকল্প ? কেনই বা রাজ্য সরকার এতগুলো টাকা এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করেছে ? কিভাবেই বা এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের সাহায্য করা হবে ইত্যাদি বিষয়।
তাহলে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই, আজকে আমরা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদের মনে জমে থাকা সকল সঞ্চয়কে সমাধান করার চেষ্টা করেছি । যেখানে আশা করছি আপনাদের এই প্রকল্প সম্বন্ধে সমস্ত রকম তথ্য খুব সহজ সরলভাবে বোঝাতে পারবো। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সমস্ত বিষয়টা এবার –
Read More: সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে মুখ্যমন্ত্রীর নয়া পদক্ষেপ
কি নাম এই নতুন প্রকল্পের ? What is the name of the new Scheme
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সারা রাজ্যের সমস্ত স্বনির্ভর গোক্তিগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য নিয়ে আসা হল নতুন একটি প্রকল্প। যার নাম দেওয়া হয়েছে “আনন্দধারা প্রকল্প” ।
একটা সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গিয়েছে যে, “আমাদের এই রাজ্যে বর্তমানে প্রায় 12 লক্ষ 1 হাজার স্বনির্ভর দল রয়েছে এবং যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রাজ্যের প্রায় 1 কোটি 21 লক্ষ পরিবার। তার জন্য সরকার অনুমান করছে এই নতুন প্রকল্পটি গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভর করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে খুবই।
এদিকে আবার মাদুর, কাঁথা সেলাই, হোমমেড চকলেট তৈরি, স্কুল ইউনিফর্ম সেলাইয়ের মতো কাজে নিযুক্ত এই গোষ্ঠীগুলি রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে আরো শক্তিশালী করে তুলছে ধীরে ধীরে।
এই নতুন প্রকল্পে আবার একাধিক মেলার মাধ্যমে শনিবার গোষ্ঠীগুলোকে বিভিন্ন রকম পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এ সরস মেলা শুরু হয়েছে। এই শনিবার গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা প্রদানের জন্য। এদিকে আবার আগামী 2025 সালে কলকাতার দেশবন্ধু পার্ক এবং পার্ক সার্কাস ময়দানে 10ই জানুয়ারি এবং 24শে জানুয়ারি এই মেলা শুরু হতে চলেছে।
চলতি বছরে এ রাজ্যে মোট 21টি মেলার আয়োজন করা হয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো যাতে বিভিন্ন রকম পণ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারে। আর এই মেলাগুলির ফলে প্রায় 12.21 কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় করেছিলেন। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, এই স্বনির্ভর দলগুলি রাজ্য ছাড়িয়ে এখন ভিন রাজ্যেও বিভিন্ন কর্মে অংশগ্রহণ করেছে। যেমন ধরুন বিহার, ঝাড়খন্ড, তেলেঙ্গানা, দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যে শনিবার গোষ্ঠী গুলি কাজে অংশগ্রহণ করেছিল।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ডিজিটাল মাধ্যমে বিক্রয় শেখানো :
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার রাজ্যের সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পণ্যগুলিকে ডিজিটাল মাধ্যমে বিক্রয় করার জন্য নানা কেন্দ্র চালু করেছে। যার ফলে গ্রামীন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা মহিলারা বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারছে। এছাড়াও রাজ্যের প্রতি বছর প্রায় 1 কোটি ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে ইউনিফর্ম বিতরণ করা হয় এবং যার সেলাই দায়িত্ব থাকে রাজ্যের স্বনির্ভর দলের মেয়েদের কাছেই।
আমাদের এই নতুন রাজ্য সরকার গঠিত হওয়ার পর, কাজের সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির প্রচার ধীরে ধীরে বেশ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এখন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যার দিক থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সারা দেশের মধ্যেই। আশা করা হচ্ছে এই আনন্দধারা প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ এই উদ্যোগকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ।