EMI: দেশের ঋণ গ্রাহকদের জন্য একটি স্বস্তির খবর সম্প্রতি সামনে এসেছে। কেননা এক দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার পর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) সম্প্রতি রেপো রেট কমানোর ঘোষণা করেছে। গত শুক্রবার পুলিশি কমিটির একটি বৈঠকে শেষে এই ঘোষণা করেছেন RBI এর গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা।
যার ফলে হোম লোন, গাড়ি লোন কিংবা অন্যান্য সকল প্রকার ঋণের EMI অনেকটাই কমে যেতে পারে। তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে ঠিক কত রেপো রেট কমলো এখন ? তাহলে সেটা দেখে নিন এবার ।
কত রেপো রেট হলো নতুন করে এবার ?
25 বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে দিয়ে 6.25% করা হয়েছে। সুতরাং, এর আগে রেপো রেট ছিল 6.5% । রেপো রেট হ্রাসের ফলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক থেকে অনেক সস্তায় ঋণ নিতে পারবে, যেটা সাধারণ ঋণ গ্রহীতাদের জন্য খুবই উপকারী হতে চলেছে।
Read More: BECIL এ গ্রাজুয়েশন পাশে কর্মী নিয়োগ
2022 সালের এপ্রিল মাস থেকে 2023 সালে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহুবার বিভিন্ন কারনে রেপো রেট বেরিয়েছিল RBI । তৎকালীন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং অর্থনীতি কে আরো বেশি স্থিতিশীল করার জন্য মূলত এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল । তবে এবার সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে রেপো রেট কমিয়ে দিয়ে RBI । এই নিয়ে RBI এর গভর্নর Sanjay Malhotra বলেছেন যে, দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে থাকা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রেপো রেট কমানোর প্রয়োজনীয়তা হয়েছে।
কি কি প্রভাব পড়ল রেপো রেট এর সাধারণ মানুষের ওপরে ?
হঠাৎ ব্যাংকের রেপো রেট কমানোর ফলে সাধানোর মানুষের মধ্যে বেশ কিছু প্রভাবে পড়েছে। সেগুলি হলো –
- ঋণের সুদের হার কমে যাওয়ার ফলে দেশে ছোটো ও বড়ো ব্যবসায়ীরা অতি সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবেন, যা অর্থনীতির গতিতে বাড়িতে তুলে দেবে।
- যারা হোম লোন, কার লোন বা অন্য কোনো লোন নিয়েছেন, তাদের জন্য আবার কম পরিমাণে EMI দিতে পারবে।
- রেপো রেট যদিও কমানো হয়েছে কিন্তু সংযত পার FD এর ওপর সুদের হার তেমন কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না।
করানো হলো মনিটারি পুলিশি কমিটির বৈঠক :
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক অর্থাৎ RBI এর মনিটারি পুলিশি কমিটিতে 6 জন সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন RBI প্রতিনিধি এবং 3 জন বাইরের বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এই বৈঠকে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকের এই রেপো রেট কমানোর মূল কারণ কি ?
RBI সম্প্রতি যে ঋণের রেপো রেট কমিয়েছে, তার মূল কারণ হলো –
- বিশ্ব অর্থনীতিতে ধীরগতিতে চললেও ভারতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বিজয় রাখার চেষ্টা চলেছে।
- ঋণের সুদের হার কমলে ঋণের চাহিদা বাড়বে, যা সামগ্রিক ভাবে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেললে।
- RBI এর করুন অর্থনৈতিক ফ্রেমওয়ার্কের ফলে মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।