Chief Minister New Step: আমাদের এই রাজ্যে সমস্ত সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে বৈষম্যের বিষয়টি বহুদিন ধরে চলে আসছে। প্রায়শই নিউজ মাধ্যম, সংবাদ মাধ্যম ইত্যাদি বিভিন্ন সূত্রে দেখা গেছে যে, অনেক কিছু আচরণের কারণে সরকারি কর্মীদের ওপর বিভিন্ন রকম অভিযোগ উঠছে।
কিছু বিভাগের কর্মচারীরা অন্যদের তুলনায় ভালো সুযোগ-সুবিধা এবং পদোন্নতি সুযোগ পাচ্ছেন এই বৈষম্যের ফলে। আর এই সমস্যাটাকে রাজ্য সরকার বহুদিন ধরে নজরে রাখছিলেন। কিন্তু এখন এই সমস্যাটা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে সরকার আর মুখ বুজে সেটা সহ্য করতে পারলেন না । এই বিষয়টি রাজ্য সরকার এবং কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেছে এবং এটি সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
এখন, রাজ্য সরকার এই উদ্বেগ গুলির সমাধানের জন্য এই নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে গত বৃহস্পতিবার, সেদিন নবান্নে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এক নতুন কমিটি এই সমস্যার সমাধানের জন্য। তাহলে এবার দেখে নেওয়া যাক মূল সমস্যাটি কোথায় এই বৈষম্যের ?
মূল সমস্যাটা আসলে কি ?
পশ্চিমবঙ্গের অনেক সরকারি বিভাগের কর্মীরা প্রায়শই মনে করে যে, তাদের ওপরে বাজে আচরণ করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ এই ঘটনাটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ঘটনাটি হল – নির্দিষ্ট অফিসের কর্মচারীরা অতিরিক্ত সুবিধা পান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে তাদের আগ্রাধিকার দেওয়া হয়। মূলত এর ফলেই অন্যান্য দপ্তরের কর্মীরা মনে করে একই যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও, ওনাদের এমন অন্যায্য আচরণ করার মূল কারণটা কি ? মূল সমস্যাটি হল এখানে পদোন্নতি ব্যবস্থা।
রাজ্য সরকারের সচিবালয়ে কর্মরত কর্মচারীরা, বিশেষ করে বলতে গেলে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক এর মত পদে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদের, বিশেষ সচিবের মতো উচ্চ পদে উন্নীত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে, অন্যান্য বিভাগের কর্মীরা, যেমন ধরুন – অধিদপ্তর বা আঞ্চলিক অফিসের কর্মীদের এই সুযোগ নেই। প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাদের কেবলমাত্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া যেতে পারে, যা সচিবালয়ে তাদের সমকক্ষ তার তুলনায় অনেক ছোট পদ।
বৈষম্য সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ :
এই বৈষম্য সমস্যা সমাধান করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করেছেন ইতিমধ্যেই। যে কমিটিটাকে সভাপতিত্ব করছেন – রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আবার এদিকে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীর ব্রাত্য দায়িত্ব নিয়েছেন সহ-সভাপতির। এছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছেন পাবলিক সার্ভিস কমিশন, গনপুর তো বিভাগ এবং অর্থ ও কর্মী বিভাগের বেস কয়েকজন উচ্চপ্রদস্থ কর্মকর্তা। এই কমিটির বৈষম্য দূর করার এবং সকল সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি ন্যায্য পদোন্নতি এবং সুবিধা ব্যবস্থার তৈরি করার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করবে, বলে দাবি জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর ওই বৈঠকে, একটি সমাধানের খসড়া তৈরির উপর আলোকপাত করা হবে। যাতে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারী, তারা যে বিভাগে কাজ করেন না কেন সেটা দেখার বিষয় নয়, তাদেরকে ক্যারিয়ার বৃদ্ধি এবং পদোন্নতির জন্য সমান সুযোগ রয়েছে।