এক দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান পর অবশেষে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা পেয়ে গেল রাজ্য সরকার

By Akash Mondal

Published On:

Follow Us
এক দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান পর অবশেষে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা পেয়ে গেল রাজ্য সরকার

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ স্বার্থ প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ পাঠিয়ে দিয়েছে। নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের আওতায় এবার থেকে প্রায় 361 কোটি টাকা পাওয়া যাবে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে, যেটা আবার গত দুই বছর ধরে আটকে ছিল। কিন্তু সেই টাকা পাওয়া এতটাও সহজ ছিল না। এখানে জড়িয়ে ছিল স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নাম সহ নানা সমস্যা। চলুন তাহলে বিস্তারিত ঘটনা টা একটু জেনে নেওয়া যাক ।

শুধুমাত্র নামেই আটকে পড়ে রয়েছিল বরাদ্দ :

পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নের জন্য বহু সমাজ মূলক প্রকল্প ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছিল, আর এই সমস্ত প্রকল্পগুলির মধ্যে Health & Wellness সেন্টারগুলির কেন্দ্র থেকে বরাদ্দ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা রকম সমস্যার তৈরি হয় তাদের নামের কারণে। কেন্দ্র সরকারের এই নিয়ে শর্ত দিয়েছিল যে, রাজ্যকে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির নাম বদলে আয়ুষ্মান আরোগ্য এর নামে রাখতে হবে।। তবে রাজ্য সরকার তখন সেটা করতে রাজি হননি, মূলত তার ফলেই এতদিন ধরে কেন্দ্রের বরাদ্দ করা টাকা আটকে পড়ে রয়েছিল।]

Read more: আগামী এপ্রিল মাসে কত দিন বন্ধ থাকছে ব্যাংক

কেন রাজ্যে আপত্তি ছিল এই বিষয় নিয়ে ? পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের একাংশ মনে করেছেন যে, ইন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের শর্ত ও রাজ্যের উপর সরাসরি রক্তক্ষেপ করে। মূলত তার ফলেই প্রথমে আয়ুষ্মান শব্দটি ব্যবহার করতে জানিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। কিন্তু এই আপত্তি জানানোর ফলে যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে বরাদ্দ করা টাকা আটকে পড়েছিল রাজ্য সরকারের, মূলত তার জন্যই অবশেষে রাজ্য সরকারকেই নাম পরিবর্তন করতে রাজি হয় এবং কেন্দ্রের শর্ত মেনে সেই নাম পরিবর্তন করা হয়।

নাম পরিবর্তন করতেই বরাদ্দের টাকা পেয়ে গেল রাজ্য :

সম্প্রতি রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির নাম বদলে আয়ুষ্মান আরোগ্য রেখেছে ইতিমধ্যেই। এর ফলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে মোট 361 কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব নিজেই এই বরাদ্দ এর কথা ঘোষণা করেছিল । এই নিয়ে অর্থ বরাদ্দ পেতে গেলে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে বিধান থাকতে হবে । এই ঘটনা সেটির প্রমাণ করলো। এই 2 বছর পর অর্থ পাওয়ার গ্রামীণ স্বাস্থ্য এবার অনেকটাই উন্নত হবে, সেটা আশা করা যাচ্ছে। এখন এই প্রকল্প কতটা কার্যকর হবে সেটাই দেখার।

Akash Mondal

আকাশ মণ্ডল! wbjobhunt.com সাইটের Owner এবং কন্টেন্ট রাইটার। বিগত ৬ বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট লিখছেন। বারাসাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টস নিয়ে স্নাতক।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now

Leave a Comment