Pension New Update: যে সমস্ত ব্যক্তিরা সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন, তারা অবসর জীবনে নিজেদের দৈনন্দিন যাবতীয় সমস্ত রকম খরচা চালানোর জন্য সম্পূর্ণভাবে পেনশন এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। আর এই পেনশনের পরিমাণটা বর্তমানে বেশ অনেকটাই কম, যেটা নিয়ে দিদি দীর্ঘদিন ধরেই নানারকম আলাপ আলোচনা চলছে বিশেষজ্ঞ মহলে। যার ফলে এবার কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি ন্যূনতম পেনশন বাড়ানোর দাবি তুলেছে।
Employees Provident Fund Organisation তথা EPFO এর আওতায় থাকা পেনশন প্রকল্পের অধীনে এবার থেকে ন্যূনতম পেনশন 9000 টাকা বৃদ্ধি করার দাবি জানানো হয়েছে। এখন বর্তমানে EPFO এর তরফ থেকে ন্যূনতম মাসিক পেনশন দেওয়া হয় 1000 টাকা। এবার সেই টাকার পরিমাণটা দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক সংগঠন গুলির আন্দোলনের ফলে এক্কেবারে সোজা 1000 টাকা থেকে শুরু করে 9000 টাকাতে পৌঁছে গেছে।
কি বলেছেন পেনশন বাড়ানোর বিষয়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ?
কেন্দ্রিয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এর সঙ্গে শ্রমিক সংগঠন গুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে দাবি জানানো হয়েছে দেশের সরকারি কর্মীদের অষ্টম বেতন কমিশনের অধীনে পেনশন বৃদ্ধির।
সংশ্লিষ্ট বৈঠকের পর ভারতীয় সংঘ, যেটা আবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ তথা RSS এর শ্রমিক সংগঠন, সেখান থেকে দাবি জানানো হয়েছে যে, সংগঠন উত্তরাঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক পবন কুমার বলেছেন, “প্রথমে ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধি করা হোক। এরপর জেটির সঙ্গে পরিবর্তনশীল মহার্ঘ ভাতা যুক্ত করা হবে। তাহলেই শ্রমিকরা বা সরকারি কর্মীরা পেনশন এর টাকার পরিমানের থেকে উপকৃত হবেন।”
এই নিয়ে অন্যদিকে আবার সিটুর সম্পাদক তপন সেন বলেছেন যে, ‘অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে প্রতিবছরই আপনার নানারকম দাবি জানাই। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোনো রকম পদক্ষেপে এই নিয়ে গ্রহণ করা হয় না। আমরা কেবল সৌজন্যের খাতিরে বৈঠকে যোগ দিই। এইসব ক্ষেত্রে।
প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পেনশনের :
বর্তমানে যেভাবে দিন দিন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েই যাচ্ছে, তারপরে বাজারের এই মূল্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্ত এবং বেসরকারি খাতে কর্মরত কর্মীরা ক্রমশ বিভিন্ন রকমভাবে আর্থিক সংকটের মুখে পড়ছেন। সংগঠনগুলি দাবি জানিয়েছেন যে, বর্তমানে 1000 টাকার পেনশন মাসিক খরচের জন্য কোনো রকম ভাবেই যথোপযুক্ত নয়।
ঠিক কি কারনে প্রয়োজন 9000 টাকা নূন্যতম পেনশন ?
বেসরকারি কর্মীদের বিভিন্ন রকম ভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া :
রাজ্যে কিংবা দেশের যে সমস্ত সরকারি কর্মীরা রয়েছেন তারা মহার্ঘ ভাতা বিভিন্ন রকমের সরকারি সুবিধা পেয়ে থাকেন কিন্তু বেসরকারী খাতের যে সমস্ত কর্মীরা রয়েছেন তারা এই সমস্ত কিছু থেকে প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হয়ে থাকেন।
কর্মীদের স্বনির্ভরতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা :
দেশের সমস্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের আর্থিক দিক থেকে সাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হলে এই পেনশন বৃদ্ধি করা অতি প্রয়োজনীয়।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি :
এখন বর্তমানে যেভাবে ভারতবর্ষের নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসের দাম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার ফলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জীবন যাপনের মান বজায় রাখা এখন এক কঠিন সমস্যার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।
পেনশন বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের ভূমিকা :
শ্রমিক সংগঠনগুলির এই পেনশন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো রকম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি। কিংবা পরবর্তীকালে কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটা এখন স্পষ্ট নয়। তবে আশা করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাজেটের ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধি প্রস্তাব খুব শীঘ্রই অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।